আমি একজন ইতিহাসের ছাত্র, এবং ইতিহাসের ছাত্র হিসাবে এপর্যন্ত যতটা জানি তার উপর ভিত্তি করেই এই উত্তর লিখছি।
কেউ যদি শিক্ষাকতা কে পেশা হিসাবে নিতে চান তবে তার জন্য নিম্ন লিখিত সুযোগ গুলো আছে;
  1. উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলে আপনি ডি এল এড করে প্রাথমিক স্কুলে শীক্ষাকতার জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং এর প্রসেস হলো ~ উচ্চ মাধ্যমিক> ডি এল এড> প্রাইমারীর পরীক্ষা> ইন্টারভিউ> তারপরেই চাকরি।
  2. গ্রাজুয়েশন করার পর আপনি যদি বি এড করেন তবে একই ভাবে আপনি মাধ্যমিক স্তরে শীক্ষাকতা করতে পারেন প্রসেস একই।
  3. আপনি যদি মাস্টার্স করে থাকেন তবে আপনি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শীক্ষাকতা করতে পারেন তবে এক্ষেত্রেও বি এড থাকা জরুরি আর নিয়োগ পদ্ধতি প্রথমের মতই।
  4. এবার আপনি যদি বি এড কলেজে পড়াতে চান তবে আপনাকে এম এ করার পর বি এড করতে হবে তারপর এম এড করতে হবে এবং এখন নেট/সেট পাস করতে হবে তবেই আপনি ইন্টারভিউ দিতে যেতে পারবেন এবং চাকরি পেতে পারবেন।
  5. আপনি যদি কলেজে পড়াতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে এখনকার নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে মাস্টার্স কমপ্লিট করতে হবে তারপর নেট বা সেট পাস করতে হবে এটা এখন আবশ্যিক, তারপর আপনি কলেজ সার্ভিসের ইন্টারভিউ বোর্ডে যেতে পারেন, তাছাড়া আপনি নেট বা সেট পাস করলে পি এইচডি ও করতে পারেন আপনার নিজের বিষয়ের উপর।
  • এছাড়াও আপনি ইতিহাস নিয়ে পড়লে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা গুলোতে বসতে পারেন তাতে মিনিমাম কোয়ালিফিকেশন বি এ পাস হতে হবে। ভারতের সমস্ত চাকরির পরীক্ষাতেই ইতিহাস বিষয়টি থাকে, সুতরাং ইতিহাস নিয়ে পড়লে আপনি অনেক রকমের চাকরির যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
  • ইতিহাস নিয়ে পড়লে উচ্চস্তরে অনেক সুযোগ সুবিধা আছে।
যাইহোক ইতিহাস পড়ুন, জানুন, সত্য কে জানার চেষ্টা করুন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ!
বিঃ দ্রঃ- এই লেখাটি আমার Quora প্রোফাইল থেকে নেওয়া, প্রথম ওখানেই লিখেছিলাম।

Post a Comment

Previous Post Next Post