মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন: ৫টি সহজ উপায়ে নিজেকে ভালো রাখুন।
সফিউল ইসলাম (জুয়েল)
আজকের দ্রুতগতির জীবনে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতার মতো ব্যস্ত শহরে আমরা প্রায়ই কাজের চাপ, ট্রাফিক, বা দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট সমস্যায় জড়িয়ে পড়ি। এসবের মাঝে নিজের মনের যত্ন নেওয়া ভুলে যাই। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টে আমি আপনাদের সঙ্গে ৫টি সহজ উপায় শেয়ার করব যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায હবে।১. নিজের সঙ্গে সময় কাটানকখনও কখনও আমরা সবাইকে সময় দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাই। প্রতিদিন একটু সময় বের করুন শুধু নিজের জন্য। হয়তো সকালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাছে একটু হাঁটতে যান, বা গঙ্গার ধারে বসে এক কাপ চা খান। এই সময়ে ফোনটা একপাশে রেখে শুধু নিজের চিন্তার সঙ্গে থাকুন। এটি আপনার মনকে শান্ত করবে।২. গভীর শ্বাস নিন, মনকে শান্ত করুনমানসিক চাপ বা উদ্বেগ বোধ করলে গভীর শ্বাসের অভ্যাস করুন। এটি খুব সহজ, কিন্তু কার্যকর। একটি শান্ত জায়গায় বসুন, চোখ বন্ধ করুন, এবং ৫ সেকেন্ড ধরে ধীরে শ্বাস নিন, তারপর ৫ সেকেন্ড ধরে শ্বাস ছাড়ুন। এটি ৫-১০ মিনিট করুন। এই কৌশল আপনার মনকে শান্ত করবে এবং উদ্বেগ কমাবে। আমি নিজে যখন চাপে থাকি, তখন এটি করে দেখি—আপনিও চেষ্টা করে দেখুন!৩. প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুনআপনি যখন মানসিকভাবে ভালো নন, তখন একা থাকবেন না। একজন বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার মনের কথা শেয়ার করলে বোঝা অনেক হালকা লাগে। হয়তো আপনার বন্ধুর সঙ্গে কলেজ স্ট্রিটে গিয়ে একটি বই কিনুন, আর কফি খেতে খেতে গল্প করুন। এই ছোট মুহূর্তগুলো আপনার মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেবে।৪. শরীরকে সচল রাখুনশরীর আর মন একে অপরের সঙ্গে জড়িত। আপনি যদি শরীরকে সচল রাখেন, তবে মনও ভালো থাকবে। প্রতিদিন একটু ব্যায়াম করুন—যেমন, হাঁটা, যোগ, বা নাচ। কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর লেকের কাছে সকালে হাঁটতে যেতে পারেন। এটি শুধু আপনার শরীর নয়, মনকেও সতেজ করবে। আমি প্রায়ই সকালে একটু যোগ করি, আর এটি আমার দিনটাকে অনেক সুন্দর করে দেয়।৫. নিজের ভালো গুণগুলো মনে করুনআমরা প্রায়ই নিজের ভুল বা দুর্বলতা নিয়ে ভাবি, কিন্তু নিজের ভালো দিকগুলো ভুলে যাই। প্রতিদিন একটি জিনিস মনে করুন যা আপনি নিজের সম্পর্কে পছন্দ করেন। হয়তো আপনি খুব ভালো শ্রোতা, বা আপনি সবাইকে হাসাতে পারেন। একটি ছোট ডায়েরিতে এগুলো লিখে রাখুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং মনকে ইতিবাচক রাখবে।শেষ কথামানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া কোনও বিলাসিতা নয়, এটি আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। ছোট ছোট পদক্ষেপ দিয়ে শুরু করুন—নিজেকে সময় দিন, প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন, আর নিজের ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করুন। আপনি যদি মানসিকভাবে ভালো থাকেন, তবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন।আপনি কীভাবে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেন? নীচে মন্তব্য করে আপনার গল্প শেয়ার করুন, আমি শুনতে চাই!
Post a Comment