চিত্র ০১ : মুর্শিদাবাদের বিখ্যাত স্থাপত্য হাজার দুয়ারী প্রাসাদ।
মুর্শিদাবাদ আমাদের সকলের পরিচিত একটি জেলার নাম।
যার পূর্বনাম ছিল একসময় মাসুম বাজার পরে মাকসুদাবাদ এবং তার পরে নবাব মুর্শিদকুলি খানের নাম অনুসারে এই জেলার নাম হয় মুর্শিদাবাদ। আমরা জানি, নবাব মুর্শিদকুলি খাঁন ১৭০৪ সালে ঢাকা থেকে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করেছিলেন।
হ্যাঁ এই সেই মুর্শিদাবাদ যেটা একসময় বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার রাজধানী ছিল।
মুর্শিদাবাদ সেই সময় সবদিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী ছিল।
বাংলার স্বাধীন সার্বভৌম নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাসনকাল আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়, মনে করিয়ে দেয় মুর্শিদাবাদের সোনালী দিনের কথা।
আমরা সকলেই অবগত যে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ( অর্জন) করে,
আজ স্বাধীনতার ৭০বছর পার হয়ে গেল।
আসুন দেখে নিই এই জেলার বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, বর্তমানে মুর্শিদাবাদের জনসংখ্যা ৮০ লাখ। ৮০ লাখ জনসংখ্যা সম্বলিত এই মুর্শিদাবাদে আজ মাত্র ২০ টি কলেজ। ভাবতেই অবাক লাগে এই জেলাতে কোনো পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
আমরা জানি মুর্শিদাবাদ ব্যতীত পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
ভাবতেই অবাক লাগে এই জেলার মানুষ আজ লেবার সরবরাহের কাছে নিয়োজিত, জেলাবাসীর বেশিরভাগ মানুষই খেটে খাওয়া দিন মজুর এদের মধ্যে অনেকেই বিড়ি শ্রমিক, ইটভাটার শ্রমিক ও কৃষিজীবী মানুষ।
উন্নয়নের দিক থেকে ভারতের প্রায় ৬০০ জেলার মধ্যে মুর্শিদাবাদের অবস্থান শেষের সারিতে।
এই জেলার শিক্ষা সাস্থ্য ও সামাজিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, এখানে নেই কোন পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ স্বাধীনতার ৭০বছর পার হয়ে গেল,
অনেক রাজনৈতিক দলের সরকার এলো গেল, কেউই শিক্ষার ব্যাপারে মাথা ঘামায় নি, গড়ে তুলেনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়।
নাবালক অবস্থাতেই জীবিকার জন্য পাড়ি দিতে হয় দেশ দেশান্তরে। একটা রিপোর্ট অনুযায়ী কেরালায় প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ কাজ করে যার অধিকাংশই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
শিক্ষানুরাগীদের দাবী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই মুর্শিদাবাদকে পিছিয়ে রেখেছে।
মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ক্যাম্পাস ফ্রন্ট, ও এসআইও নামে দুটি ছাত্র সংগঠন অনেকদিন থেকেই আন্দোলন করে আসছে, কিন্তু এতে সরকারের বিন্দুমাত্রও সাড়া নেই।
আসুন আমরা সকলে মিলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকে আরও জোরালো করে তুলি।
লেখাটা ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে বন্ধুদের পড়ার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ।
এম.এ ইতিহাস (আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়)সফিউল ইসলাম (জুয়েল)
Safiul Islam
Post a Comment